আলোকিত সকাল ডেস্ক
প্রথম ছয় ম্যাচে অপরাজিত দল ছিল নিউজিল্যান্ড। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে যাওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে হেরে সেমির অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল কিউইদের। এর মধ্যে শনিবার লর্ডসে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে অজিদের কাছে ৮৬ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড।
সেমিতে দিয়ে রাখা কিউইদের পা’টা টেনে ধরেন মিশেল স্টার্ক-জেসন বেহরেনড্রফরা। এখন কিউইদের চিন্তা- সমীকরণের মারপ্যাচে কিউইরা পা হড়কে ছিটকে পড়ে কি-না। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ তারা খেলবে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংলিশরাও গ্রুপ পর্বে বিদায়ের অঙ্কে পড়ে গেছে। কিউইদের বিপক্ষে তাই মরণ কামড় না দিয়ে উপায় নেয় তাদের। নিউজিল্যান্ডের অবশ্য নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে সেমিতে খেলার সুযোগ থাকছে।
লর্ডসে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন অ্যারন ফিঞ্চ-ওয়ার্নাররা। কিন্তু দারুণ ফর্মে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা অজিরা ট্রেন্ট বোল্ট-লকি লার্গুসনদের সামনে অসহায় হড়ে পড়েন। দলের ৯২ রানে তারা হারায় পাঁচ উইকেট। সেখান থেকে উসমান খাজা দলের হাল ধরেন। খেলেন ৮৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সঙ্গে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স কেরি খেলেন ৭২ বলে ৭১ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। তারা গড়েন ১০৭ রানের জুটি।
শেষ দিকে প্যাট কামিন্স করেন ২৩ রান। উসমান খাজা, বেহরনড্রফ এবং মিশেল স্টার্ককে আউট করে ট্রেন্ট বোল্ট ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রানের লড়াইয়ের পুঁজি। বোল্ট-ফার্গুসনদের বোলিং দেখেই বোঝা যায় স্টার্ক-বেহরেনড্রফরা ছেড়ে কথা বলবেন না। সেটাই হলো। কিউইরা স্টার্ক এবং বেহরেনড্রফ ঝড়ে পড়ে ৬.২ ওভার থাকতে ১৫৭ রানে অলআউট হয়।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে এ ম্যাচে কেন উইলিয়ামসন সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান রস টেইলরের ৩০ রান। অন্যরা পুরোপুরি ব্যর্থ হন। কিউইরা এ ম্যাচে ১১৮ থেকে ১৩১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোন পথ খোলা ছিল না তাদের। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ২৬ রানে নেন ৫ উইকেট। বেনরেনড্রফ নেন দুটি উইকেট। এছাড়া প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন এবং স্টিভ স্মিথ একটি করে উইকেট নেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট নেন ৪ উইকেট। লকি লার্গুসন এবং জিমি নিশাম নেন দুটি করে উইকেট।
আস/এসআইসু