স্টাফ রিপোর্টার
সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের ১৫ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ওই কিশোরীর প্রতিবেশী আব্দুল মমিন মুন্না (২২) তাকে ফুসলিয়ে যমুনা নদীর ধারের কাঁশবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় রোববার শাহাজাদপুর থানায় নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই যুবককে আসামি করে একটি মামলা (মামলা নং-১৫) দায়ের করেছে কিশোরীর বাবা নুরুল ইসলাম। ধর্ষক আব্দুল মমিন মুন্না (২২) ওই গ্রামের আমিরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে। তারা দুজনই এখন পলাতক।
সরজমিনে গেলে ধর্ষিতার মা মনোয়ারা বেগম জানান,গত ৭ জুন শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের যমুনা নদীর ধারের চরাতে আমার মেয়ে ছাগল আনতে যায়। সেখানে আগে থেকেই মমিন উপস্থিত থেকে আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে পাশের কাঁশবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে আমার শাশুড়ি ফজিলা খাতুন ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে।
অপরদিকে দিকে লম্পট মমিন তার আগমন টের পেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই বিষয়টি গ্রাম প্রধানদের জানালে তারা শালিশ বৈঠকের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ফলে নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে ওর বাবা। এ ঘটনার পর থেকে মমিন ও তার বাবা মা পলাতক রয়েছে।
এদিকে মমিনের ফুপু নাহার খাতুন ও চাচা খালিদ হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমরা কিছু টাকা পয়সা দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি। আশাকরি ২/৩ দিনের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তবে কৈজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,আসামী পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু বাদী পক্ষ আসেনি। উভয়পক্ষ শালিশ বৈঠকে বসতে সম্মত হলে তাদের নিয়ে বসা হবে। এতে সমাধান না হলে আইন অনুযায়ী এর বিচার হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন,মামলার তদন্ত চলছে। আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
আস/এসআইসু