শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
শ্রীনগরে রাতের আঁধারে এক বৃদ্ধার বাড়ি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী রহিমা বেগমের (৬০) বসত বাড়ি গত ১১ মে শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে একই গ্রামের মৃত নুর আহম্মেদ শেখের ছেলে মোঃ কাউসার কসাই (৩৫) ও সামসুলের (৫৫) নের্তৃত্বে সালাম (৩০), জনি (২৫), দেলোয়ারসহ (৪০) প্রায় ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে। এবিষয়ে অসহায় বৃদ্ধা রহিমা বেগম শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও মৌজার আরএস ৩৯২০, ৩৯২১ ও ৩৯২৩ নং দাগের সম্পতি ক্রয়সূত্রে মালিক রহিমা বেগম। সে দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু বিক্রয় দাতার ছেলে কাউসার কশাই নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে কয়েক বছর যাবৎ ওই বৃদ্ধার জায়গা দখলের পায়তার করেছে। যদিও এক প্রত্যয়নপত্র সূত্রে জানাযায়, গত ২০১৭ সনের ২২ এপ্রিল ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জায়গার কাগজপত্র দেখে প্রকৃত মালিক রহিমা বেগমের বলে রায় দেন। কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ে প্রমানিত হয় যে কাউসারের বাবা জিবিত থাকা কালিন সময়ে ওই জায়গা বিক্রি করে করে যান। ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত ও স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোকাজ্জল হোসেন খানের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বৃদ্ধা রহিমা বেগম বলেন, ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে আমি পৌনে ১২ শতাংসের মালিক। কয়েক বছর যাবৎ কাউসার গং আমার জায়গা দখলের পায়তারা করছে। শনিবার গভীর রাতে কশাই কাউসার চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক আমার জায়গায় ঘর উঠায়। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। আমি এখন তাদের ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছি। কাউসার রাতে ঘর উঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার জায়গাতেই আমি ঘর উঠিয়েছি। ইউপি সদস্য মোকাজ্জল হোসেন খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগেও উভয় পক্ষের কাগজ পত্র দেখে রহিমা বেগমকে জায়গার মালিক হিসেবে গন্য করা হয়েছে। রাতের আঁধারে কাউসার ঘর উঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে এক বৃদ্ধার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আস/এসআইসু