আলোকিত সকাল ডেস্ক
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নেহায়েত দায়িত্ব ও কর্তব্যের মানুষ এবং নিরাপত্তা সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য সবাই নিজ নিজ এলাকায় পাড়ি দিয়েছেন।
কয়েকদিন থেকেই নাড়ির টানে শহর ছেড়েছেন কর্মরত মানুষ। তবে শহর ফাঁকা হলেও গ্রামে গ্রামে জমে উঠেছে ঈদের আমেজ। ঈদ ও অতিথিদের বরণ করতে এখন পুরো প্রস্তত গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের প্রস্ততি হিসাবে বাড়ি-ঘর লেপা-পোছা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করেছেন ইতোমধ্যে।
এইদিকে ঈদের একসপ্তাহ আগেই ৩১ মে বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষ করেছেন অনেক চাকুরিজিবীরা। বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষ করেই শহর ছেড়ে যার যার গ্রামে ছুটেছেন। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে গ্রামের পথঘাট প্রান্তর। কেউ আবার আগেই পরিবারের সদস্যদের গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে তাই বাঁধভাঙা ঈদ আনন্দে মেতেছে গ্রাম অঞ্চল। নিখাদ এ আনন্দের ঝলকানিতে রাতের আঁধারেও ফুটেছে রঙিন আলো। জেগে উঠেছে গ্রাম। গ্রামীণ জনপদে লেগেছে আনন্দের ছোঁয়া। স্বজনদের সম্মিলন হয়ে ওঠেছে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম। ঈদের ছুটিতে গ্রামে শহরবাসী কারো কারো স্বল্পকালীন উপস্থিতি হলেও সংশ্লিষ্ট জীবনধারায় এনে দিয়েছে দ্যুতি। শৈশবের স্মৃতিঋদ্ধ জনপদ স্বল্প সময়ের জন্য এনে দিয়েছে ভিন্ন আমেজ।
ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিজীবী শামসুল আলম। বর্তমানে ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কথা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা বাজারে। তিনি বলেন, ৩১ মে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস শেষ করেছেন তিনি। ঈদের আগে আরও একদিন অফিস খোলা থাকলেও মাঝের একদিন ছুটি নিয়ে পরিবার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওহাটা রনাপাড়া এসেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ-মা ও আত্মীয়-স্বজন সাথে ঈদ করার জন্য এতো কষ্ট করে ঢাকা থেকে আসা।
জেলার গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌর এলাকার সামসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি একজন সরকারি চাকুরীজীবি। কর্মস্থল চট্টগ্রামে। তিনিও ৩১ মে কর্মদিবস শেষ করে পরিবার নিয়ে পহেলা জুন গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। তিনি বলেন, এবার ঈদে সরকারিভাবে লম্বা ছুটি পাওয়া গেছে সঙ্গে অফিস থেকে বাড়তি দুইদিন ছুটি নিয়েছেন। এই ছুটিতে এবার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে পারব। তাই এবারে বাড়ি ফেরার আনন্দ অন্য রকম।’
নাড়ির টানেই বাবা-মা, ছেলে সন্তান, জামাই-মেয়ে, নানা-নানি, দাদা-দাদি বা কেউ শুশর-শাশুরি সঙ্গে ঈদ উৎযাপন করতে ছুটে এসেছেন শত শত কিলোমিটার দূর থেকে গ্রামের বাড়িতে।
অনেকে গাড়ি টিকিটের সমস্যার জন্য হয়তো এসে পৌঁচ্ছাবেন আজকের মধ্যেই। গ্রামে ঈদ করতে আসা এইসব অতিথিদের পেয়ে পুরো গ্রাম, পাড়া, মহল্লা, দোকান-পাট যেন উদযাপিত হয়ে উঠেছে ঈদের বাড়তি আমেজে। অনেকে এসে গরীব-দুঃখি আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে, সেমাই, চিনি, নতুন পোষাক বিতরণ করছেন।
আস/এসআইসু