গজারিয়া(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
রিকশা চালক আওলাদ হোসেনের মেয়ে সোনিয়া আক্তার(২১)। তিন বোন আর এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সোনিয়া। বাবা রিকশা চালিয়ে যা রোজগার করতেন তা দিয়েই তাদের সংসার চলত।
অনেক আশা নিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাসা থেকে রওনা দিয়েছিল সোনিয়া। ট্রলারে চেপে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে মেঘনা পাড়ি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রায় ৪০ এর অধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ট্রলারে থাকা সোনিয়াকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এখন আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
সোনিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোনিয়া ডান পায়ে ও মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছে। পেটে গেঁথেছে রড।
গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের আধার মানিক গ্রামের আওলাদ হোসেনের মেয়ে সোনিয়া। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে পরিবারের হাল ধরতে চেয়েছিল।
সোনিয়ার বাবা মোঃ আওলাদ হোসেন বলেন, মেয়ের এখন মুমূর্ষ অবস্থা। ডান পায়ের রগ ছিড়ে গেছে, মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গেছে। শরীরের কয়েকটি স্থান থেঁতলে গিয়েছে। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা দরকার।
হতদারিদ্র্য রিক্সা চালক আওলাদ হোসেন রিক্সা চালিয়ে তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে পড়াশুনা করিয়ে আসছেন। এমতাবস্থায় টাকার জন্য মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার(৩১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় চরকিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ৪০ এর অধিক যাত্রীর মধ্যে অনেকেই ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী।
আস/এসআইসু