আলোকিত সকাল ডেস্ক
শরিফকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এবং আস্তে আস্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিফাত ও আয়েশা কলেজ থেকে বের হওয়ার সময়ই চার-পাঁচ জন তাদের ঘিরে ফেলে। এসময় তারা রিফাতকে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আয়েশা তাদের বাধা দিলেও কাজ হয়নি। তারা রিফাতকে উপুর্যপুরি আঘাত করে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তির এক ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শরীফের বাবা ছেলের খুন হওয়া সম্পর্কে বলেন, দুই মাস আগে তাঁর ছেলে রিফাত শরীফ বরগুনা পুলিশ লাইনস এলাকার আয়েশা আক্তার ওরফে মিন্নিকে বিয়ে করে। এর পর থেকে আয়েশাকে নিজের সাবেক স্ত্রী দাবি করে পশ্চিম কলেজ সড়কের নয়ন নামের এক তরুণ তাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। একপর্যায়ে নয়ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। এ নিয়ে রিফাত শরীফের সঙ্গে নয়নের বিরোধ হয়। এর জেরে নয়ন ও তার বন্ধু রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও রাব্বি আকন ফরাজীসহ কয়েকজন মিলে তাঁর ছেলে রিফাত শরীফকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
ভিডিও চিত্রে যে দুজন সন্ত্রাসীকে কুপিয়ে জখম করতে দেখা গেছে তাদের একজনের নাম নয়ন বন্ড এবং রিফাত ফরাজী। তারা উভয়েই স্থানীয়ভাবে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এসব ঘটনায় একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও বরগুনা থানা সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবীর হোসেন মাহমুদ জানান, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে পুলিশের সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনীদেরকে সনাক্ত করা গেছে। অভিযান চলছে শিগগিরই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
আস/এসআইসু