নিজস্ব প্রতিনিধি
চাদা আদায়ের কারণে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গ্রেড বিক্রমপুর (প্রাঃ) লিঃ পরিবহন নামে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কারণ হিসেবে জানাযায়, গ্রেড বিক্রমপুর (প্রাঃ) লিঃ পরিবহনের এক সেয়ার হোল্ডার ও বিএনপি নেতা কাউসার তালুকদারের সাথে বাস মালিকদের দন্দ্বের কারণে গত ২০ জুন থেকে মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাস মালিকরা কারণ দেখিয়ে মালিক সমিতিকে জানিয়েছেন। পরিবহনগুলো বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ৩ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পরেছে। তারা এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, মাওয়া ঘাট এলাকায় গ্রেড বিক্রমপুর পরিবহনের বাসগুলো পাকিং করা অবস্থায় অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। মালিক পক্ষ বাস বন্ধ রাখার কারণে চালক, হেল্পারসহ অনেক কর্মজীবী শ্রমিক বেকার হয়ে পরেছে। তারা জানান, সেয়ার হোল্ডার কাউসার তালুকদারে সাথে দন্দ্ব থাকার কারণে গ্রেড বিক্রমপুর পরিবহনের সব বাস বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিকরা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, গ্রেড বিক্রমপুর ব্যানারে রোড খরচ (জিপি) হিসেবে সংশ্লিষ্ট গুলিস্তান অফিসে বাস প্রতি ১২০০ টাকা করে জমা দিয়ে আসছে বাস মালিকরা। কিন্তু গত ৮ জুন থেকে সেয়ার হোল্ডার লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাউসার তালুকদার মাওয়ার কাউন্টার থেকে ১৪০০ টাকা করে আদায় করছে। একারণে কাউসারের সাথে বাস মালিকদের দন্দ্বের সৃষ্টি হয়। রহস্যজনক কারণে এর বেশী কিছু বলতে চাননি তারা।
গ্রেড বিক্রমপুর (প্রাঃ) লিঃ পরিবহনের বাস মালিক শাজাহান শেখ তারা মিয়া, রিপন খান, রহিম, লেবুসহ অনেকেই বলেন, আমরা অনেকটা অসহায় হয়ে বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে গ্রেড বিক্রমপুর ব্যানারে অভিল অনুযায়ী প্রতিদিন ১২০০ টাকা করে দিয়ে আসছি কোন প্রকার সমস্যা হয়নি। কিন্তু গত ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে সেয়ার হোল্ডার কাওসার তালুকদার মাওয়া কাউন্টারে বাস প্রতি ১৪০০ টাকা করে জিপি দাবি করেন।
এতে করে প্রতিদিন বাস প্রতি ২৬০০ টাকা করে জিপি খরচ দিয়ে বাস চালিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেয়া অতিকষ্ট দায়ক। তাই বাধ্য হয়েই এ রোডে বাস বন্ধ রেখেছি। তারা আরো জানান, গ্রেড বিক্রমপুর (প্রাঃ) লিঃ পরিবহনের সকল বাস মালিকগণ এর সমাধান চেয়ে বাস মালিক সমিতিকে জানানো হয়েছে।
গ্রেড বিক্রমপুর (প্রাঃ) লিঃ এর এমডি জসিমউদ্দিন চৌধুরী জানান, মাওয়া কাউন্টার থেকে টাকা উঠাতে মানা করা হয়েছে। তারপরেও প্রতিটি গাড়ি থেকে কাউসার ১৪০০ টাকা করে চাদা আদায় করছে। কাউসারের কাছে ৪-৫ লাখ টাকা মালিক পক্ষ পাওনা রয়েছে। বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবর হাওলাদার জানান, এবিষয়ে উভয়কে নিয়ে বসা হয়েছিলো। কোন সমাধান হয়নি।
এবিষয়ে গ্রেড বিক্রমপুর (প্রাঃ) লিঃ পরিহনের সেয়ার হোল্ডার ও বিএনপি নেতা কাউসার তালুকদারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে বলেন, ঝামেলা ছিলো এখন মিট হয়ে গেছে।
আস/এসআইসু