আলোকিত সকাল ডেস্ক
‘‘এইখানে সিগারেটটা ধরায়েন না, পুলিশ আমারে ধরব, আমার সিগারেটের প্যাকেটগুলা নিব গা, আমি খালি চা-কলা-বিস্কুটই বেচতাসি, দেখছেন সিগারেট বেচতে?’’
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে ফার্মগেট খামারবাড়ি এলাকাস্থ একটি চা দোকানদার হোসেন এ কথাগুলো বলছিলেন তার দোকানের একজন ক্রেতাকে।
ক্রেতা সুমন হাওলাদার প্রশ্ন করেন হোসেনকে- কেন, কি সমস্যা এখানে সিগারেট খেলে?
হোসেন বলেন, দোকান ফুটপাথে। এখান দিয়া বহু রোজাদার মানুষ চলাফেরা করে, সিগারেটের ধোঁয়ায় তাদের কষ্ট হয় দেইখাই পুলিশ সিগারেট বেচতে ও এখানে খাইতে কড়াভাবে না কইরা গেছে।
আজ জুমার নামাজের ঘণ্টাখানেক আগে কৃষিবিদ কনভেনশন সেন্টার থেকে জাগরণ প্রতিবেদক বের হয়ে সেই ফুটপাথ ধরে অন্যত্র যাবার সময় এই কথাবার্তা শোনা যায় কালো পর্দার আড়াল থেকে।
পরে ভেতরে প্রবেশ করে কথা হয় হোসেনের সাথে।
রমজান মাসে সিগারেট না বেচলে কি ক্ষতি, প্রশ্ন করলে দোকানদার হোসেন বলেন, ক্ষতি নাই, আসলে বেশি চলে তো, এই জন্য একটু বেচি।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরও ফাঁক বুঝে সিগারেট বিক্রি করছেন তিনি। এ প্রতিবেদক তার সাথে কথা বলার সময়ও তিনি সিগারেট বিক্রি করছিলেন, ডানে-বামে সতর্ক দৃষ্টি রেখে।
তবে শুধু হোসেনের দোকানই নয়। খামার বাড়ি সড়কের ফুটপাথে ৪/৫টি অস্থায়ী চা দোকান দেখা গেছে, যারা কালো পর্দার আড়ালে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছিলেন। সিগারেট নিয়ে সেসব দোকানের সাথেও পুলিশের একই আচরণ বলে সরেজমিনে জানা গেল।
একটি দোকানের মালিক হাশেম। তিনি বলেন, কালকা (৯মে) আমার কাছ থিকা নানা জাতের ১০ প্যাকেট সিগারেট পুলিশ নিসেগা। বহুত কইছি, কিন্তু দেয় নাই। কাস্টমার তো চায়, এজন্য রাখি, বেচি।
তারপরও দুপুরবেলা সিগারেট বিক্রি বন্ধ কি না সেটা দেখা যায়নি।
আস/এসআইসু