ডা. জাফরুল্লাহর অবস্থা স্থিতিশীল, কমেছে গলা ব্যথা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে আজ কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। তার নিউমোনিয়ার পরিমাণ আর অবনতি হয়নি। তিনি কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই চলছেন। তার গলার ব্যথা কিছুটা কমেছে।
বুধবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মামুন মোস্তাফি।
ডা. জাফরুল্লাহ নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডা. মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
এর আগে বুধবার সকালের দিকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল এবং কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘স্ট্রোক হলে অনেক সময় মানুষ প্যারালাইজড হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্ট্রোকের জটিলতা কেটে গেলেও প্যারালাইসিস কবে সারবে না সারবে, সেটা বলা কঠিন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তার করোনা সেরে গেছে। কিন্তু করোনা তার নিউমোনিয়ায় জটিলতা তৈরি করে গেছে। তাছাড়া কিডনি ফেইলিওর (অচল) থাকায় আগে থেকেই তার কিছু ফুসফুসে কিডনি ফেইলিওরজনিত কিছু সমস্যা ছিল। সবকিছু মিলিয়ে জাফরুল্লাহর অবস্থাটা এখন একটু জটিল।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ওনার শারীরিক অবস্থা আগে যে অবস্থায় ছিল, এখন পর্যন্ত অ্যাডভান্সড হয়নি। আগে তো তার কোভিড পজিটিভ ছিল, সেটা নেগেটিভ হয়ে গেছে। আর ওনার নিউমোনিয়া রোগ যেটা সেটা এখনও খুব একটা ভালোর দিকে যায়নি। তিনি এখনও আন্ডার ট্রিটমেন্টে (চিকিৎসাধীন) আছেন। যদিও তিনি কনশাস (চেতন)। কোনো অক্সিজেন লাগছে না। উনি নিজে নিজেই বাথরুমে যাচ্ছেন। নড়াচড়া করছেন। উনার ফুসফুসে যে নিউমোনিয়া, সেটা থেকে এখনও উনি নিরাপদ পর্যায়ে আসেননি। এখনও ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে আছেন। উনি আইসিইউতে ভর্তি আছেন। মনোবল আর লাখো মানুষের দোয়ার ওপর ভিত্তি করে বেঁচে আছেন তিনি।’