আলোকিত সকাল ডেস্ক
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) চলতি মে মাসেই দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরে পিবিআই প্রধান দৈনিক জাগরণকে একথা জানান। তিনি বলেন, এরইমধ্যে তদন্তে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এ মামলার পর তার মোবাইল ফোন দুটি জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃস্পতিবার তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া নারীবান্ধব করার লক্ষ্যে রিমা সুলতানা নামে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বনজ কুমার মজুমদার আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে অনেক নারীকে প্রতারিত করা হয়। নির্যাতনের শিকার বেশিরভাগ নারী মামলা করতে চায় না। যাদের অর্থ ও সাহস আছে তারাই বিচার চায়।
নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১২ জন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহামেদ ও মো. জাকির হোসাইনের আদালতে আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলেন, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, তার সহযোগী নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের, জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল। এরা প্রত্যেকেই নুসরাত হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
আস/এসআইসু