আলোকিত সকাল ডেস্ক
সাম্প্রতিক বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার নদী-হাওর-জলাশয়ের পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। বন্যার স্রোতে বিভিন্ন নদী-হাওর থেকে কচুরিপানা ভেসে উপজেলা সদরের নলজুর নদীতে বিশাল স্তূপের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার পৌর শহরের স্লুইস গেইট এলাকা থেকে নলজুর নদীর প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানার স্তূপ জমে আছে। ফলে নদী তীরবর্তী জেলে পরিবারসহ খেটে খাওয়া শতাধিক পরিবারের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় মাছধরা এবং বিভিন্ন শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিন নলজুর নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কচুরিপানার বিশাল স্তূপ। বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় এবং নলজুর নদীতে কচুরিপানার স্তূপের কারণে শহরের পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জগন্নাথপুর এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার যাতায়াত সমস্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কচুরিপানার স্তূপের কারণে ঐ এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে পারছেন না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নলজুর নদী থেকে কচুরিপানার স্তূপ অপসারণ করতে হলে বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের প্রয়োজন।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা অবনতি দাশ জানান, নদীতে কচুরিপানার স্তূপের কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় দীর্ঘ দুই সপ্তাহ ধরে ১০ সদস্যের পরিবার নিয়ে অভাব-অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছি। একইভাবে নৌকা দিয়ে মাটি কাটা শ্রমিক নুর মিয়া জানান, কচুরিপানার স্তূপের কারণে নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় নৌকা দিয়ে মাটি কাটা যাচ্ছে না। ফলে সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছি। এদিকে নলজুর নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় মালামাল বহনকারী সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন মুন্না জানান, কচুরিপানার স্তূপ অপসারণ করার বিষয়টি পৌরসভার মেয়রকে জানানো হয়েছে।
আস/এসআইসু