আলোকিত সকাল ডেস্ক
সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছেই। বিবাহিত, রাজাকারপুত্রকে পদ দেওয়াসহ নানা অভিযোগে চলছে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ছাত্র নেতা।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি বলেন, এই যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। পদ বঞ্চিত হয়েছে ৫ হাজার, তাহলে ৫০জন কেনো প্রতিবাদ করছে। আর প্রতিবাদের ভাষা কেনো এতো নোংরা, এতো শৃঙ্খলা পরিপন্থী। কারণ তারা বিশেষ কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তাদের সূতো কিন্তু অন্য কোথাও রয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শুধুমাত্র শেখ হাসিনার ভ্যান গার্ড। এর বাইরে কারো কথায় ছাত্রলীগ চলবে না। আমরা বিশ্বাস করি। আমরা সেভাবেই কথা কাজে মিল রাখছি।
এদিকে গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী। এছাড়া সভাপতি শোভন বিবাহিত বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে রাব্বানী বলেন, আমার বিরুদ্ধে এবং আমাদের সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করলাম প্রমাণ করুক, আমরা অব্যাহতি নিবো। কিন্তু এইভাবে মিথ্যাচার করে যারা সংগঠনের বদনাম করছে, সর্বোচ্চ বডিকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।
যেখানে ৫-৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ১ বছরের কাছাকাছি সময় নেওয়ার পরও কমিটি নিয়ে কেনো এতো বিতর্ক।
গোলাম রাব্বানি বলেন, আমাদের কমিটি হয়েছে নয় মাস। গত কমিটি হয়েছে সাত মাসে। এছাড় আমরা দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন করেছি। তিনমাস আমরা ডাকসু নিয়ে কাজ করেছি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছি। এরপর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সদ্য সাবেকদের কাছ থেকে আমরা প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাইনি। যদি আমরা সহযোগিতা পেতাম তাহলে কমিটি আরও ছয় মাস আগেই করা যেতো। আমরা যখন বসেছি আমাদের আওয়ামী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্ধ সেই সত্যটা উপলদ্ধি করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার কমিটিকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে তারা বরাবরই অসহযোগিতা করে এসেছে। যখনেই বসেছি তারা এমন উদ্ভট নাম বলেছে, বা এমন ভাবে তারা বলেছে মনে হয়েছে যে তারাই প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি, আমরাই সাবেক।
আস/এসআইসু