আলোকিত সকাল ডেস্ক
হলিউডে এমন কিছু ছবি আছে যার কলাকুশলীরা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তারা শ্যুটিংয়ের সময় সত্যিকারে তাদের কো-স্টারের সঙ্গে ‘যৌন মিলন’ করেছেন। এমনই বিশ্ব কাঁপানো ৮টি ছবির তথ্য-
ক্যালিগুলা
ক্যালিগুলা মূলত ১৯৭০ দশকের ছবি। অন্যান্য সমস্ত ছবির থেকে এটা একটু আলাদা। এই ছবির নির্মাতারা মুক্তির আগেই জানিয়ে দেন যে, ছবিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সত্যিকারের যৌন মিলন করেছেন। ফুল ফ্রন্টাল ন্যুডিটি থেকে, ওরাল সেক্স, সঙ্গম দৃশ্যে কোন বডি ডাবল ব্যবহার করা হয়নি এতে। যদিও সাধারণ দর্শক এবং ফিল্ম ক্রিটিকরা ছবিটি খুব ভালো ভাবেগ্রহণ করেনি।
অল অ্যাবাউট আনা
অল অ্যাবাউট আনা মূলত ডেনমার্কের ছবি। পরিচালক লার্স ভন ত্রিয়ের ছবিটি যৌনতা নিয়ে তৈরি করেন তিনি। মাস্টারবেশন এবং সঙ্গম দৃশ্যগুলিতে অভিনয়ের সময় ছবির নায়ক-নায়িকারা সত্যিকারের মিলনও করেন এই ছবিতে।
তবে মুক্তির পর ছবিটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট সমালোচিত হয়। তাতে প্রযোজক জানান, ছবিটি এমন একটি বিষয়ের ওপর তৈরি যাতে সেক্সুয়াল অ্যাক্ট না দেখালে ছবির বিষয়বস্তুই বুঝা যেত না।
দ্য ব্রাউন বানি
দ্য ব্রাউন বানি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্লোয়ি সেভিঙ্গি। এই ছবিতে তার বিভিন্ন অঙ্গ বাস্তবে দেখানো হয়েছে। ক্লোয়ি তার বিভিন্ন দৃশ্য, বিশেষত ওরাল মিলনের দৃশ্যগুলোতে পারফর্ম করেছেন বাস্তবে।
নিম্ফোম্যানিয়াক
নিম্ফোম্যানিয়াক। যারা আন্তর্জাতিক সিনেমা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানবেন এই ছবিটির কথা। সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল নিম্ফোম্যানিয়াক। এর পরিচালক ছিলেন লার্স ভন ত্রিয়ের। ছবিতে যৌন মিলনের দৃশ্যের জন্য এর আর্টিস্টরা সত্যিই পারফর্ম করেন। এমনকি এর কিছু দৃশ্যে পর্নো তারকাদেরও ব্যবহার করা হয়েছে।
লাই উইথ মি
লাই উইথ মি ছবিতে লরেন লি স্মিথ এবং এরিক ব্যালফোরের সঙ্গম দৃশ্য ছিল দেখার মতই। এই ছবিতে সত্যিই যৌন মিলন করে দেখিয়েছেন তারা। যে দৃশ্য এখনো কিছু ভক্তদের ভাবায়।
সুইট সুইটব্যাকস ব্যাড অ্যাস সঙ
সুইট সুইটব্যাকস ব্যাড অ্যাস সঙ। ১৯৭১ সালে নির্মিত এই ছবির প্রধান অভিনেতা মেলভিন ফান পেবলস প্রথমে সেক্স করার কথা অস্বীকার করলেও বহু বছর বাদে প্রকাশ পায় ছবিতে তাদের যৌন মিলনের দৃশ্য। যা সত্যিই শ্যুটিং করা হয়েছিল। এমনকি এই ছবির শ্যুটিং পরবর্তীকালে মেলভিন যৌন রোগে আক্রান্ত হন। কনট্র্যাক্ট অনুযায়ী তাকে কমপেনসেশনও দেয়া হয়েছিল।
পিঙ্ক ফ্লেমিঙ্গোস
পিঙ্ক ফ্লেমিঙ্গোস ১৯৭২ সালের ছবি। জন ওয়াটার্স ছবিটি পরিচালনা করেন। ছবির বেশ কিছু দৃশ্যে সত্যিকারের মিলন দেখানো হয়।
বেইস মোয়া
বেইস মোয়া বাস্তবে ফরাসি ছবি। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘আমার সঙ্গে সেক্স করো’। টাইটেল দেখেই আন্দাজ করা যেতে পারে ছবিতে মিলনের দৃশ্য থাকবে এতে। দেখা গেছে, ছবির সঙ্গম দৃশ্য শুধুমাত্র গ্রাফিক্সই নয়, রীতিমতো পর্নোগ্রাফির সঙ্গে এ ছবির তুলনা করেছেন ফিল্ম ক্রিটিকরা।
আস/এসআইসু