আলোকিত সকাল ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দুই পাচারকারী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ও দুইটি কিরিচ উদ্ধার করেছে বিজিবি।
শনিবার (১ জুন) ভোর রাতে আড়াই ঘণ্টার ব্যবধানে নাফ নদী সংলগ্ন কে কে খাল ও দমদমিয়ার নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নিহতরা হলেন- মিয়ানমারের মংডু নাফপুরা এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. আব্দুল গফুর (৪০) ও টেকনাফ কেরুনতলী এলাকার মৃত শরিফের ছেলে মো. সাদেক (২৩)।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান পিএসসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, নাফ নদী পার হয়ে কে কে খাল এলাকা দিয়ে একটি বড় চালান মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। সে সূত্র ধরে বিজিবির একটি টহল দল পূর্ব থেকে সেখানে উৎ পেতে থাকে। এক সময় নৌকাটি খালের মুখে আসতেই বিজিবি বাঁধা দেয়। এ সময় পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। ৪ থেকে ৫ মিনিট উভয় পক্ষে গুলি বিনিময় হলে পাচারকারীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করলে কাঁদার মধ্যে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের শরীরে ৫০ হাজার করে ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল হতে ২টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার হয়।
সিও আরও জানান, স্থানীয়দের মারফত নিহতদের পরিচয় মিলে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আছে।
অপর দিকে রাত ১২ টার দিকে সিও’র নেতৃত্বে দমদমিয়া নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার কবে বিজিবির একটি দল। তবে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
সিও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাফ নদীতে তার নেতৃত্বে অবস্থান নেয়। এ সময় একদল পাচারকারী মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করে ৫ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া এসব ট্যাবলেট সদর ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতি ধ্বংস করা হবে।
আস/এসআইসু