আলোকিত সকাল ডেস্ক
পদ বঞ্চিতদের তোপের মুখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফেরত আসলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তাদের সাথে দেখা দেননি আহত নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর মধুর ক্যান্টিনে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে যাওয়ার পর ঢামেকের জরুরি বিভাগের গেটে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রাত পৌনে এগারটার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে আহতদের দেখতে গেলে সেখানে আহতদের সঙ্গে থাকা শতাধিক নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা বাকবিতণ্ডার পর ফিরে আসেন শোভন ও রাব্বানী।
এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে। “মানবতার কথা বলে বোনদের উপর হামলা কেন, বিচার চাই বিচার চাই; বিবাহিতরা কমিটিতে কেন, মানি না মানবো না; রাজাকার পুত্র কমিটিতে কেন, মানি না মানবো না; সন্ত্রাসীদের কালো হাত–ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও;” বলে স্লোগান দেন পদ বঞ্চিতরা।
অপরদিকে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কর্মীরা “বিদ্রোহীদের কালো হাত–ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও” বলে পাল্টা স্লোগান দেয়।
শোভন ও রাব্বানী ঢামেকের গেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পথ রুদ্ধ করেন রোকেয়া হলের সভাপতি ডাকসুর ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিএম লিপি আকতার। সেসময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “রাজাকার পুত্র, বিবাহিত, অছাত্রদের কমিটিতে রেখেছেন, আমাদের মত ত্যাগীদের কেন মূল্যায়ন করেন নি?”
জবাবে রাব্বানী বলেন, “সামনে মূল্যায়ন করা হবে।”
একই সময় আরেক পদ বঞ্চিত আল আমিন বলেন, “যাদেরকে কমিটিতে রেখেছেন, তারা কোন বিবেচনায় আমাদের চেয়ে যোগ্য?”
জবাবে শোভন বলেন, “সব কিছু বিবেচনা করা হবে। আমরা আহতদের দেখতে আসছি।”
এসময় সাবেক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাবু বলেন, “ত্যাগী নেতাদের মারধর করে কেনো সিম্পেথি নেওয়ার জন্য এসেছেন? কোনো ভাবেই এই নাটক করতে দেওয়া হবে না।”
পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হাসপাতালে না প্রবেশ করে চলে যান।
আস/এসআইসু